এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ওজোন স্তর, ওজোন স্তর ক্ষয়ের কারণ, বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস, রেগ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরের মাধ্যমে ওজোন স্তরের ক্ষতি সম্পর্কে জানব ।
ওজোন স্তর হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামুলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে । এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে বা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কি:মি: উপরে - অবস্থিত। এই জ্বরের পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমভেদে কমবেশি হয়। সুর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি ওজোন স্তর শোষণ করে নেয় এবং পৃথিবীর জীবজগতের সব প্রাণীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে । এজন্য ওজোন স্তরকে পৃথিবীর চাল বলা হয়।
ওজোন স্তর ক্ষরের কারণ
বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী ১৯৭০ সালের পর থেকে ওজোন স্তরের প্রায় ৪% ধ্বংস হয়েছে। উত্তর মেরুর দিকে ধ্বংসের মাত্রা বেশি। ওজোন স্তর ক্ষরের কারণকে দু'টি ভাগে ভাগ করা যায়।
ফর্মা-২, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং-১, প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ৯ম-১০ম শ্রেণি
১) প্রাকৃতিক- অগ্ন্যুৎপাত, বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনায় ওজোন স্তর কিছুটা নষ্ট হয় ।
২) মানব সৃষ্ট - মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি, রেফ্রিজারেটর, অ্যারোসল, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ইত্যাদি ব্যবহার ।
পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এই ওজোন স্তর । ওজোন স্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুব কম হলেও জীবনের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর মধ্যম মাত্রার রশ্মির (তরঙ্গ দৈর্ঘ্য) শতকরা ৯৭-৯৯ অংশই শোষণ করে নেয়, যা কিনা ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানরত উদ্ভাসিত জীবনসমূহের ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম । মধ্যম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সূর্যের এই অতিবেগুনি রশ্মি মানব দেহের ত্বক এমনকি হাড়ের ক্যান্সারসহ অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধি সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। এই ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীর জীবজগতের সকল প্রাণের প্রতি তীব্র হুমকি স্বরূপ । তাই বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর প্রতিনিয়তই এই মারাত্নক ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিগুলোকে প্রতিহত করে পৃথিবীর প্রাণীকুলকে রক্ষা করছে ।
অপরদিকে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বনজ সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে, প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। যদি ওজোন স্তরের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয় হতে শুরু করে, তাহলে জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসবে। এটি সমগ্র জীবজগতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। যেমন- প্রাণীদের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে, চোখের ছানি, ত্বকের ক্যান্সার এবং অন্য নতুন নতুন রোগের উদ্ভব ঘটবে। তথ্যমতে, পৃথিবীতে এক পঞ্চমাংশ অন্ধ রোগী ও নব্বই শতাংশ ক্যান্সার রোগের কারণের জন্য দায়ী অতিবেগুনি রশ্মি। এই রশ্মির প্রভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে।
এই রশ্মি খাদ্যশস্যকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। উদ্ভিদের পাতার রোগ বৃদ্ধি পাবে। ফসলের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণকে বাড়িয়ে দেবে। এক কথায়, এই রশ্মির প্রভাবে প্রাণীজগতের অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হবে। ওজোন স্তরের ক্ষয় সামুদ্রিক শৈবাল, প্লাংকটনসহ সামগ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে । এ কথা মনে রাখা উচিত, উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতে বসবাসকারী সবারই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে ওজোন স্তরের ক্ষয় কমবেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ওজোন স্তরের ভূমিকা তাই সবচেয়ে বেশি।
উন্নত দেশগুলোর শিল্পায়ন ও অতিবিলাসী জীবনযাপনের কারণে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে আমাদের এই পৃথিবী। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ক্লোরোফ্লোরোকার্বন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি, রেফ্রিজারেটর, অ্যারোসল, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ওজোন স্তর ধ্বংসকারী বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উদগীরণ হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় ৬০ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারত, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য । বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। ওজোন স্তর রক্ষায় এসব দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এনে বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োগ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। যেমন সূর্যশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ।
সাধারণত বায়ুমণ্ডলের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর চাপ এবং ঘনত্ব হ্রাস পায়। কিন্তু তাপমাত্রার সঙ্গে উচ্চতার আরো জটিল সমীকরণ আছে এবং কিছু অঞ্চলে উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে স্থির বা এমনকি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাপমাত্রার এই আচরণ বুঝে বায়ুমণ্ডলীয় স্তরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পাঁচটি প্রধান অরে (একে বায়ুমণ্ডলীয় স্তরবিন্যাস বলা হয়) ভাগ করা যায়। সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন পর্যন্ত এই স্বরগুলো হচ্ছে-
১) ট্রপোমণ্ডল (Troposphere): শূন্য (০) থেকে ১২ বা ১৫ কিলোমিটার
২) স্ট্র্যাটোমণ্ডল (Stratosphere): ১২ বা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার (ওজোন স্তরের অবস্থান
৩) মেসোমণ্ডল (Mesosphere): ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার
৪) তাপমণ্ডল (Thermosphere) to থেকে ৭০০ কিলোমিটার
৫) এক্সোমণ্ডল (Exosphere): ৭০০ কিলোমিটারের উর্দ্ধে
ট্রপোমন্ডল (Troposphere):
ট্রপোমন্ডল ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু হয় এবং প্রায় ১২ বা ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ট্রপোবিরতি পর্যন্ত বিস্তৃত। যদিও এই উচ্চতার তারতম্য ঘটে আবহাওয়ার কারণে যা মেরুতে প্রায় ৯ কিলোমিটার (৩০,০০০ ফুট) এবং বিষুবরেখায় প্রায় ১৭ কিলোমিটার (৫৬,০০০ ফুট)। ট্রপোমন্ডল সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয় ভূপৃষ্ঠ কর্তৃক বিকিরণকৃত তাপশক্তি দিয়ে, তাই সাধারণত ট্রপোমন্ডলর সবচেয়ে নিচে অংশ উষ্ণ এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে এই স্তরের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। মূলত সমস্ত আবহাওয়ার উপাদান (যেমন মেঘ ইত্যাদি) সহ ট্রপোমন্ডল বায়ুমন্ডলের ভরের প্রায় ৮০% ধারণ করে। ট্রপোবিরতি হচ্ছে ট্রপোমন্ডল ও স্ট্র্যাটোমন্ডলের মধ্যে সীমারেখা স্বরুপ।
স্ট্র্যাটোমন্ডল (Stratosphere):
স্ট্র্যাটোমন্ডল অঞ্চল পৃথিবী থেকে ১২ বা ১৫ কিলোমিটার উপরে ট্রপোবিরতি হতে শুরু হয়ে স্ট্র্যাটোবিরতি পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। স্ট্র্যাটোমন্ডলের শীর্ষে বায়ুমন্ডলীয় চাপ সমুদ্র পৃষ্টের ১০০০ ভাগের এক। ওজোন স্তর দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ শোষণ বৃদ্ধির কারণে উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে এই স্তরের তাপমাত্রা বাড়ে। ট্রপোবিরতিতে তাপমাত্রা - ৬০° সেলসিয়াস (-৭৬° ফাঃ) হতে পারে । স্ট্রাটোমন্ডলের উপরে অনেক গরম।
মেসোমন্ডল (Mesosphere):
মেসোমন্ডল সমুদ্রপৃষ্ট হতে ৫০ কিলোমিটার উপরে স্ট্র্যাটোবিরতি থেকে শুরু হয়ে মেসোবিরতি পর্যন্ত প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। উল্কাপিন্ড সাধারণত ৭৬ কি:মি: থেকে ১০০ কি:মি: উচ্চতার মধ্যে মেসোমন্ডলে দেখা যায়। মেসোমন্ডলে উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। মেসোমন্ডলের উপরে অবস্থিত মেসোবিরতিতে তাপমাত্রা এত হ্রাস পায় যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান এবং ঐ স্থানের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৮৫° সেলসিয়াস (-১২০° ফাঃ)। এই উচ্চতায় তাপমাত্রা - ১০০° সেলসিয়াস (- ১৫০° ফাঃ) পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। এই স্তরের ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে জলীয় বাষ্প জমাট বাঁধে ।
তাপমণ্ডল (Thermosphere):
তাপমন্ডল প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল; ২৬০.০০০ ফুট) উপরে অবস্থিত এবং মেসোবিরতি থেকে থার্মোবিরতি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরের তাপমাত্রা উচ্চতা বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যা সর্বোচ্চ ১,৫০০° সেলসিয়াস (২,৭০০° ফাঃ) পর্যন্ত হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথ এই স্তরের ৩২০ থেকে ৩৮০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। মেরুজ্যোতি যা উত্তর গোলার্ধে অরোরা বোরিয়ালিস (aurora borealis) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে অরোরা অস্ট্রালিস (aurora australis) নামে পরিচিত তা মাঝেমধ্যে তাপমন্ডল এবং এক্সোমন্ডল নিচের অংশ দেখা যায়।
এক্সোমণ্ডল (Exosphere):
এক্সোমন্ডল হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর, এবং সমুদ্রতল হতে প্রায় চাঁদের দূরত্বের অর্ধেক পথ । এটি প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং কিছু ভারী অণুসমূহ যেমন নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড দিয়ে গঠিত। এই অণু ও পরমাণু সমূহ পরস্পর থেকে এত দূরে থাকে যে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না ফলে বায়ুমন্ডল আর গ্যাস হিসাবে আচরণ করে না। এই সকল মুক্ত ভ্রমনরত কণাসমূহ নিক্ষিপ্ত বস্তুর নির্দিষ্ট আবক্র পথ অনুসরণ করে। এই স্তরে বায়ু খুবই হাল্কা অবস্থায় থাকে ।
ওজোন স্তরের ক্ষতি প্রতিরোধ ও মন্ট্রিল চুক্তি-
যে সকল পদার্থ ওজোন স্তরের ক্ষয় সাধন করে, সেসবের উৎপাদন ধীরে ধীরে কমিয়ে একেবারে শূন্যে নিয়ে আসার জন্য ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিল শহরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় একে মন্ট্রিল প্রটোকল বলে । ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত মন্ট্রিল চুক্তি ৫ বার সংশোধিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটি সংশোধিত হয়। মোট স্বাক্ষরকারী দেশ ১৮০। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলি সিএফসির (CFC) (ক্ষতিকর গ্যাস, যা সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানবে) মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। ওজোন স্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওজোন লেয়ার সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখটি মনোনীত করেছে।
বর্তমান ও অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় যে হুমকি তা হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আমাদের যেমন শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি আমাদের পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফ বা হিমবাহ গলে যাচ্ছে। এই বরফ বা হিমবাহ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গলে যায় তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে । এতে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মানচিত্রের নিম্ন অঞ্চলের দেশ যেমন - বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভারত, শ্রীলংকা সহ বিভিন্ন দেশের কিছু অংশ চিরদিনের জন্য সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে।
এই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারনের মধ্যে অন্যতম হলো ওজোন স্তরের ক্ষতি। কার্বন ডাই অক্সাইড, সিএফসি (CFC) গ্যাস সহ বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এই ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং -এ সিএফসি (CFC) যুক্ত হিমায়ক ব্যবহার করা হয়। যখন রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে ছিদ্র বা লিক হয় তখন এই সিএফসি (CFC) যুক্ত হিমায়ক বায়ুমন্ডলের সাথে মিশে গিয়ে ওজোন স্তরের ক্ষতি করছে।
ওজোন স্তরের ক্ষতি কমানোর জন্য